Sundarban’s Honey (সুন্দরবনের মধু)

৳ 1,500.00৳ 2,500.00 (-40%)

Sold By: Sundarbans Honey

In stock

আমাদের নিজস্ব মৌয়ালরা সুন্দরবনের গহীন থেকে তাদের প্রানের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু সংগ্রহ করছে। আর সেই “র” মধুটাই আমরা পৌঁছে দিচ্ছি আপনাদের হাতে। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুতে খলিশা, গেওয়া, গরান, কেওড়া, বাইন, শেয়াল, হরকোচা, উড়া আর ও অনেক রকমের ফুল থাকার কারনে এই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু দেখতে যেমন সুন্দর তার সাথে এইটা খেতেও টক মিষ্টি দুর্দান্ত স্বাদের।

Report Abuse

সুন্দরবনের খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যঃ

  • সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু দেখতে সাধারণত হালকা হলুদ বর্ণের (Light Amber) রঙের হয় (তবে সময়, চাক ও ফুল ভেদে কিছুটা হালকা (Light) বা গাড়ো (Dark) হতে পারে)।
  • সুন্দরবনের প্রাকৃতিক মধু খেতে খুবই সুস্বাদু, হালকা টকটক মিষ্টি লাগে।
  • কিছু মানুষের কাছে- সুন্দরবনের মধু অনেকটা আখের রসের মতো লাগে।
  • সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুর ঘনত্ব সবসময় পাতলা হবে।
  • সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- একটু ঝাঁকি লাগলেই প্রচুর পরিমাণে ফেনা হয়ে যাবে। তবে শীতকালে ফেনা হওয়ার প্রবণতা কম দেখা যায়।
  • সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের খাটি মধু আমরা কখনই জমতে দেখা যায়নি। হোক সেটা ফ্রিজের ভেতরে বা বাইরে।
  • এই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধুর আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- হাতে চাক কাটা পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা মধুর উপরে হলুদ রঙের পোলেন জমা হয়। এটাকে অনেকে গাদ জমা বলে থাকেন।
  • এই সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু খেতে কিছুটা ঝাঁঝালো হয় ।

ঘনত্ব 

সুন্দরবনের মধু কখনোই ঘন হয় না। আপনি যখন এই মধু হাতের আঙুলে নেবেন তখন তা পানির মত করে পিছলে পরে যাবে। ঘনত্ব কম হওয়ার কারণে যখন একপাত্র থেকে অন্য পাত্র অথবা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়া হয় তখন দুধের মত সাদা ফেনা হয়।

ফেনার সাথে সাথে একটি গ্যাসের উৎপত্তি হয়। অনেকটা কোন ডিটারজেন্ট যখন পানির সাথে মিশিয়ে ঝাঁকি দিলে অনেক ফেনা আর বুদ্‌বুদ গ্যাস হয় ঠিক তেমনি। তবে সহজেই এই অবস্থা থেকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়। এই জন্য শুধু মধু যে পাত্রে আছে তা স্থির করে রাখতে হয়। এতে ধীরে ধীরে সেই ফেনা বিলীন হয়ে যাবে এবং গ্যাস নির্মূল হয়ে যাবে।

রং 

সুন্দরবনের মধু সবসময় অ্যাম্বার রঙের হয়ে থাকে। যেহেতু এখানে বিভিন্ন ফুলের মধু থাকে সেহেতু এটি রঙের দিক দিয়ে কিছু তারতম্য দেখায়। তবে প্রধান রং অ্যাম্বার থাকলেও তা লাইট, ডার্ক বা হালকা ডার্ক হতে পারে।

ঘ্রাণ 

সুন্দরবনের মধুর এত নাম ডাক হওয়ার পেছনে এর ঘ্রাণ অনেক বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। সাধারণত সুন্দরবনের মধু হচ্ছে হরেক রকমের সংমিশ্রণ। প্রতিটি ফুলের আলাদা আলাদা ঘ্রাণ ও বৈশিষ্ট্য আছে। এই কারণে এই মধু থেকে অনেক উৎকৃষ্ট সুঘ্রাণ আসে। তাছাড়া এতে একটু হালকা টক টক ঘ্রাণ থাকে।

স্বাদ 

স্বাদের দিক দিয়ে বলতে গেলে সুন্দরবনের মধু অন্য সকল মধু থেকে আলাদা। বিশেষ করে কেওড়া ফুলের মধু মিশ্রণ থাকায় স্বাদ টক টক হয়। কারণ এই ফুলের মধু খেতে একটু টক টক লাগে। আর সুন্দরবনের মধুতে এই ফুলের নেকটার অবশ্যই উপস্থিত থাকে। এই জন্য স্বাদ টক টক কিন্তু মিষ্টি লাগে। অন্যদিকে এই মধুতে চিনির থেকে কমপক্ষে ১ থেকে ১.৫ গুন বেশি মিষ্টি থাকে।

আর্দ্রতা

সুন্দরবনের মধুতে আর্দ্রতা বেশি থাকে। অর্থাৎ সমুদ্রের কাছাকাছি এলাকায় বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকে। এই কারণে সে সকল এলাকায় যে মধু উৎপন্ন হয় তা পাতলা ও হালকা রঙের হয়ে থাকে। এই কারণে সুন্দরবনের মধু পাতলা হয়।

প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত

সুন্দরবনের মধুতে প্রোটিনযুক্ত পোলেন মিশ্রিত থাকে। এটি চাক থেকে মধু চেপে বের করার পর তা যে পাত্রে রাখা হয় তার ঠিক উপরে একটি লেয়ার বা আস্তরণ পরে। এটি সাধারণত প্রোটিনযুক্ত পোলেন বা গাদ নামে পরিচিত। যদি আপনি সরাসরি সুন্দরবনের আশেপাশের এলাকা থেকে এই মধু কিনেন তবে অবশ্যই এটি দেখে নিবেন। তবে অনলাইনে নিলে তারা এই স্তর ছেঁকে তারপর বোতলজাত করে। এই জন্য পোলেন না থাকলে বিভ্রান্ত হবেন না।

সুন্দরবনের মধু সাধারনত দুই প্রকার হয়ে থাকেঃ

১। সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের মধু – এপিস ডরসাটা বা বুনো মৌমাছি সুন্দরবনের গহীনে ফোঁটা খলিশা, গরান, কেওড়া, গেওয়া ইত্যাদি ফুলের থেকে নেকটার সংগ্রহ করে এবং সেই নেকটার চাকে জমা করে। আর মৌয়ালরা সেই প্রাকিতিক চাক থেকেই সেই খাঁটি মধু সংগ্রহ করে। এই মধু তৈরিতে মানুষের কোনরূপ হাতের ছোঁয়া ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি হয়।

২। সুন্দরবনের চাষের মধু- এপিস মেলিফেরা ও এপিস ফ্লোরিয়া মৌমাছি  যেগুলা  থেকে এই চাষের মধু সংগ্রহ কর হয়। এই চাষের মধুতে সুন্দরবনের ফুলের নেকটার ছাড়াও অন্যান্য ফুলের নেকটার থাকে। এই মধুটা চাষের মৌবক্স থেকে সংগ্রহ করা হয় আর নেকটার সংকট থাকলে এই মৌমাছিদের কে চিনি খাওয়ানো হয়।

আমাদের সুন্দরবনের মধুটা কেন আলাদাঃ

আমরা আপনাদেরকে দিচ্ছি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের “র” মধু যা সম্পূর্ণরূপে খাঁটি। কারন এই মধু আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে গহীন বন থেকে আমাদের নিজস্ব মৌয়ালরা এপিস ডরসাটা বা বুনো মৌমাছির প্রাকৃতিক চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে। আর এই খাঁটি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের “র” মধুটা আমরা পৌঁছে দিচ্ছি আপনার হাতে ।

সুন্দরবনের “র” মধুর PH:

সুন্দরবনের “র” মধুর PH সাধারনত ২.৮ থেকে ৫.৫ হয়ে থাকে বা ৩.১ থেকে ৬.০ হয়ে থাকে। যদি সুন্দরবনের মধুর PH ৬ এর থেকে বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে সেই মধুতে নিশ্চিত ভেজাল দেওয়া আছে।

Be the first to review “Sundarban’s Honey (সুন্দরবনের মধু)”

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Reviews

There are no reviews yet.

Loading...

Vendor Information

  • Store Name: Sundarbans Honey
  • Vendor: Sundarbans Honey
  • Address: Vaga Bazar-9340,Rampal,Bagerhat
    Bagerhat
    Bagerhat
    9340
  • No ratings found yet!
No product has been found!

Product Enquiry

See It Styled On Instagram

    No access token

Main Menu